পোলিওর টিকার মতো করোনা টিকাও মুখে নেওয়া যাবে। ক্যাপসুলের মতো এই করোনা প্রতিষেধক তৈরি করেছে ভারতের এক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাদের দাবি, করোনার এই ‘ওরাল ভ্যাকসিন’ প্রথম ডোজের পরই রোগ প্রতিরোধে কার্যকারিতার পরিচয় দিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর আগে পোলিও টিকাদানের ক্ষেত্রে ওরাল ভ্যাকসিন উপযোগী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখন করোনার টিকার ক্ষেত্রে সুচের ব্যবহার কমলে, টিকার খরচের পাশাপাশি সুচের মাধ্যমে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে।
নতুন করোনা টিকার নাম ওরাভ্যাক্স কভিড-১৯। এটি তৈরি করেছে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা প্রেমাস বায়োটেক। টিকাটির প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে বাজারে আনার জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ওরামেড ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা।
প্রেমাস জানিয়েছে, রোগ প্রতিরোধে কার্যকারিতার প্রমাণ প্রথম ডোজেই দিয়েছে ওরাভ্যাক্স। যদিও এখন পর্যন্ত শুধু প্রাণীদেহেই পরীক্ষা করা হয়েছে এই টিকা। প্রথম ডোজ নেওয়ার পরই দেখা গেছে, শ্বাসনালি এবং খাদ্যনালিকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রতিষেধকটি।
প্রেমাসের ব্যাখ্যা, এই টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়িয়েছে, তেমনি উন্নত করেছে রোগ প্রতিরোধক প্রতিক্রিয়া বা ইমিউন রেসপন্সও। শরীরের অ্যান্টিবডিগুলোকে প্রশমন করে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে এই টিকা। তাতেই বেড়েছে টিকাটির কার্যকারিতা। যদিও এই টিকা এখনো মানবদেহে পরীক্ষা করা হয়নি। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে মানবদেহে এই টিকার প্রভাব পরীক্ষা করা হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।