পরস্পরের প্রতি আকর্ষণবোধ, দুজন দুজনকে আঁকড়ে থাকতে চাওয়া, একে অন্যের জন্য প্রতীক্ষা করে কাছে পাওয়ার আনন্দে পাগল হয়ে যাওয়া, দুজনে দুজনাতে মুগ্ধ ! নর-নারীর মধ্যে এমন সম্পর্কের নামই প্রেম বা ভালোবাসা।যে প্রেম ভালোবাসায় কোন স্বার্থ থাকে না,সীমা থাকে না সেই প্রেম ভালোবাসা হচ্ছে সত্যিকারের প্রেম-ভালোবাসা।হাজার কষ্ট হলেও তারা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে না।এমন প্রেমের সম্পর্কই গড়ে তুলেছিল পটুয়াখালির রাঙ্গাবালির এক প্রেমিক যুগল।ওদের প্রেম-ভালোবাসা নিজেদের মধ্যে এমন এক বন্ধন সৃষ্টি করেছে, যা ছিন্ন হবার নয়, তাই তো জীবনে বিছিন্ন হওয়ার পরিস্থিতি তাদেরকে মরনেও আলাদা করতে পারেনি প্রেমের বন্ধন থেকে…
প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এক প্রেমিক যুগল। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাঙ্গাবালীর ঘটনাস্থল থেকে ট্রলারযোগে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গাবালীর বড় বাইজদা ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের জহির প্যাদার সতের বছর বয়সী ছেলে রাজিব ও একই গ্রামের রিপন হাওলাদারের পনের বছর বয়সী মেয়ে রাবেয়া স্থানীয় কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।বছর খানেক আগ থেকেই রাজিব ও রাবেয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কৌশরের এ প্রেম ওদের মাঝে এমন আবেগ অনুভূতি তৈরি করেছে যেনো একে অপরকে ছাড়া বাঁচবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল প্যাদা জানান, রাজিব ও রাবেয়া একই ক্লাসে পড়ার সূত্রে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে দুই পরিবারের কেউই এ প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেবেনা বলে জানায়।পারিবারিক এ সিদ্ধান্ত রাজিব ও রাবেয়া জানতে পেরে হতাশ হয়ে পড়ে।মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তারা দু’জনেই রাবেয়ার বাড়ির কাছের নির্জন স্থানে বসে বিষপান করে। পরে দুজনে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক রাঙ্গাবালী থেকে ট্রলারযোগে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাকুরুজ্জামান জানান, বিষপান করা দু’জনের হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে।