আন্তর্জাতিক ডেস্ক নিউজ।
পুজো উপলক্ষে ভারতের হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ গেছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মোট ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ যায় সেখানে। কিন্তু প্রথম দিনে পাইকারি বাজারেই যে দামে বিক্রি হল পদ্মার ইলিশ, তাতে তা মধ্যবিত্ত ভারতীয় বাঙালির পাতে কতটা পৌঁছবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ট্রাকভর্তি পদ্মার ইলিশ ঢুকেছে ভারতে। সেই ইলিশই গেল হাওড়ার আড়তে। তক্কে তক্কে ছিলেন খুচরো বিক্রেতারাও। ইলিশের গন্ধে শুক্রবার চোখে পড়ার মতো ভি়ড় ছিল পাইকারি বাজারে।
রাজ্যের ইলিশ আমদানিকারী সংস্থা ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে মোট ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ঢুকেছে। তার মধ্যে ৫০ টন ঢুকেছে হাওড়ায়।
পাইকারি বাজারের আড়তদারেরা জানান, বড়, মাঝারি বিভিন্ন আকারের ইলিশের বিভিন্ন দাম রয়েছে। নিলামে যে দাম উঠছে, তাতেই বিক্রি করা হচ্ছে। ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হল এক হাজার থেকে বারোশো রুপিতে। আর একটু বড় মাপের ইলিশের দাম উঠল ১৫০০-১৭০০ রুপি। এই ইলিশই শুক্রবার থেকে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাবে।
পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর দেরিতে ইলিশ এল বাংলাদেশ থেকে। দামও চড়া। তাছাড়া যে পরিমাণে মাছ পাঠানোর কথা রয়েছে, ততটা তো পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ যাবে ভারতে। মোট ৭৯ জন ইলিশ কারবারিকে ৫০ টন করে ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাকা।
গত বারের থেকে বাংলাদেশে এ বার ইলিশের উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। সাগরে প্রচুর ইলিশ মিললেও নদীতে ঝাঁকের দেখা সেভাবে মেলেনি। সাগরের ইলিশ নদীর মিষ্টি জলে দিন কয়েক সাঁতরানোর পরে তাদের শরীরের নুন কাটে, পেটে জমে তেল। তাতেই বাড়ে স্বাদ-গন্ধ। কিন্তু এ বার নদীতে মাছ না-মেলায় বাংলাদেশের বাজারেও বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
তথ্য সূত্র -দেশ টিভি অনলাইন