কসবায় নববধূকে হত্যার অভিযোগ।।

কসবায়  নববধূকে হত্যার অভিযোগ।

পথিকৃত ডেস্ক।।

মাত্র দু‘মাস আগে বিয়ে হয় ফারহানার। এখনও শুকায়নি হাতের মেহেদির রঙ। তার আগেই সে পরিণত হলো যৌতুকের কড়াল গ্রাসে। যৌতুকের টাকার জন্য ফারহানাকে তার স্বামী হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকার।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী পূর্বপাড়া থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গেপাঠায় পুলিশ।

নিহত ফারহানা আক্তার (১৯) ওই গ্রামের নুরু মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী এবং কুমিল্লা জেলা সদরের দক্ষিণ বাগিচাগাঁও এলাকার মো. দুলাল মিয়ার একমাত্র মেয়ে।

নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাস আগে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের পূর্বপাড়ার নুরু মিয়ার পুত্র দেলোয়ার হোসেনের সাথে কুমিল্লা জেলা শহরের দক্ষিণ বাগিচাগাঁও মহল্লার দুলাল মিয়ার একমাত্র মেয়ে ফারহানা আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য ফারহানাকে  তার স্বামী–শাশুড়ি চাপদিয়ে আসছিলো। গত সোমবার নুরু মিয়া তার পুত্রবধূকে আনতে গিয়ে ফার্নিচারের টাকা দাবী করেন।

তখন ফারহানা শ্বশুরালয়ে যাবেনা বললেও তাকে একরকম জোরপূর্বক ভাবেই নিয়ে আসে শ্বশুর নুরু মিয়া। পরদিন রাতেই শ্বশুরালয় থেকেউদ্ধার হলো ফারহানার লাশ।

কসবা থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর বলা যাবে।‘

নিহতের ভাই জানে আলম রাজিব জানান, ‘গত সোমবার দুপুরে ফারহানাকে এক প্রকার জোর করেই কসবায় নিয়ে যান তারশ্বশুর নুরু মিয়া।

পরদিন মঙ্গলবার রাতে ফারহানার শ্বশুর ফোন দিয়ে বলেন ফারহানা অসুস্থ। কসবা থানায় গিয়ে শুনি ফারহানা নাকি ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছে!’ দোলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রাজিব বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে মনো -মালিন্য চলছিলো। এসবের জেরেই পাষণ্ড দোলোয়ার আমার বোন ফারহানাকে গতকাল রাতে হত্যার পরফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে।

তারপর কসবা থানায় গিয়ে দেখি ফারহানার লাশ। এখন পর্যন্ত ফারহানার শ্বশুর বাড়ির কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করেননি।‘

কসবা থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আলমগীর ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফারহানা নামের নববধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছ হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ