কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংঃ মেয়েলি বিষয় এবং সিনিয়র-জুনিয়রদের বিরোধ থেকে শুরু হয় মারামারি।
নেকবর হোসেন।।
গতকাল রাতভর কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন স্থানে কিশোর গ্যাং ও মাদক প্রতিরোধে জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম সাঁড়াশি অভিযানে মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে গত শুক্রবারের ঘটনায় নগরীর ‘আরজিএস’ নামের একটি কিশোর গ্যাং এর ৪ সদস্য গ্রেফতার করার হয়। কিশোর গ্যাং এর বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এসব কিশোর গ্যাং তৈরি হলেও পরে একসময় মাদক, অস্ত্র এমনকি খুনোখুনিতেও জড়িয়ে পড়ে। মাদক, অস্ত্রের দাপটসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে জেলায়। ফলে কিশোরদের কেউ যখন বন্ধুদের মাধ্যমে কিশোর গ্যাংগুলোতে ঢুকছে এবং মাদক ও অস্ত্রের যোগান সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। একারণে কুমিল্লা জেলা পুলিশের কিশোর গ্যাং-মাদক প্রতিরোধে সাঁড়াশি অভিযান আব্যাহত রয়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোর গ্যাং এক সদস্য সাথে আলাপকালে জানা যায়, স্কুলে পড়তে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতে মজার ছলে এসব কিশোর গ্যাং তৈরি করি। এইভাবে গড়ে ওঠে কিশোর অপরাধী এক একটি দল। অনেক সময় তুচ্ছ কারনেও ঝামেলা জড়িয়ে যাইতাম। পর্রবর্তীতে দলীয় রাজনৈতির আশ্রয় ও প্রশ্রয় নিয়ে সমবয়সী কিশোর এবং কয়েকজন বন্ধুরা একত্রিত হয়ে কিশোর গ্যাং তৈরী করি। এর পর খুব দ্রুত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্রুপগুলোর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন সমবয়সীদের নিয়ে কিশোর গ্যাংটি নিজেই গড়ে তুলে। শুরুতে তারা অন্যদের হামলা থেকে নিজেদের প্রটেক্ট করার জন্যই তারা কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হইতে। পরে ৫০/৬০ জনকে নিয়ে বড় আকারে একটা কিশোর গ্যাং তৈরি করে। কিছু সময় অন্যার কারণেও ঘটতো বিভিন্ন গ্রুপের সাথে মারামারি। এক এলাকার ছেলে অন্য এলাকায় যাওয়া নিয়ে হইতে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং মেয়েলি বিষয় এবং সিনিয়র-জুনিয়রদের বিরোধ থেকেও অসংখ্য মারামারি হয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই তাদের গ্রুপে মাদকও ঢুকে পড়ে। তাদের গ্যাংয়ের কয়েকজনের মধ্যে একটা সময় লোভ চলে আসে। গ্রুপটাকে কাজে লাগিয়ে টাকা আদায়ের ধান্দা শুরু করে। একসময় কেউ কেউ ছিনতাই শুরু হয়। আর মাদক নেয়া তো ভয়াবহ পর্যাযে চলে যায়। কয়েকজন বিভিন্ন অপরাধে জেলও খেটেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অনেক কিশোর গ্যাংয়ের নাম রয়েছে।এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে কাজ করলে তার সুফল পাইবে এবং এখনকার সময়মত প্রায় অভিযান চালিয়ে যায় তার পজিটিভ ফল জণসাধারনের চোখে পড়বে। গত কিছুদিন যাবত কিশোর গ্যাংয়ের বেশ কয়েকটি গ্রুপের অপরাধ এবং খুনের চেষ্টা করার ঘটনার পর থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে শুরু হয় কুমিল্লা জেলা পুলিশের কিশোর গ্যাং-মাদক প্রতিরোধে সাঁড়াশি অভিযান আব্যাহত রয়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।