‘পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে কারচুপির কোন সুযোগ নেই।এজন্য দেশে পৌরসভা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আগামী ১৬ জানুয়ারি সাভার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সাভার উপজেলা পরিষদের হলরুমে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, পৌরসভা নির্বাচন কেমন হবে এবং করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করে জেনেছি নির্বাচনের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো আছে। কোথাও কোনো সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই। এখানে প্রার্থীদের মধ্যে সহযোগিতা আছে। তাদের আচরণে এবং ব্যবহারে নির্বাচন পরিচালনাকারীরাও সন্তুষ্ট।

ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে এমনটা মন্তব্য করে নূরুল হুদা বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি সাভারসহ সারাদেশের ৬১ টি পৌরসভার নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রতি ভোটারদের আগ্রহ বেড়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত যেসব পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে আমলে নেয়ার মতো কোন অভিযোগ নেই।

অন্যদিকে নির্বাচনের সময় বহিরাগতদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, আমরা নির্বাচনের কালচার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইভিএমকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম যদি কেউ তুলে নিয়ে যায় সেখানে একটি ভোটও দিতে পারবেনা। কারণ এখানে মিথ্যা ভোট দেয়ার কোন সুযোগ নেই। যার ভোট একমাত্র তিনিই দিতে পারবেন। তাই ইভিএম কেউ নিয়ে গেলেও কোন কাজ হবেনা কিংবা এর উপর শক্তি প্রয়োগ করেও কিছু করা যাবেনা। এই বিষয়টি যখন ভোটারদের মাথায় ঢুকে যাবে তখন আর কোন বহিরাগতরা ভোট কেন্দ্রে আসবেনা এবং কোন সমস্যাও হবেনা। নির্বাচনকে সুষ্ঠ করার জন্য যদি অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া নির্বাচনে কেউ যদি ফৌজদারি অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। তদন্ত হবে এবং বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার প্রমুখ।

আরো পড়ুনঃ