নিজস্ব প্রতিবেদক।।
২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে নির্মম গণহত্যার শিকার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুমিল্লা মহানগর শাখার আয়োজনে স্বাধীনতা ও গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লা শহীদ মিনারে ৫০টি মোমবাতি প্রজ্বলন ও আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহাসিক ২৫শে মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের শোকস্মৃতিবাহী গণহত্যা আর নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের ‘কালরাত’। জাতীয় ‘গণহত্যা দিবস’। জাতি গভীর বেদনায় প্রতিবছর স্মরণ করে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাপুরুষোচিত হামলার শিকার নিরীহ শহীদ আর প্রতিরোধসংগ্রামে আত্মদানকারী বীর যোদ্ধাদের।
এ দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি কুমিল্লা মহানগর শাখা। কুমিল্লা টাউন হলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২৫শে মার্চ গণহত্যার দিনে আলোর মিছিল করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় স্বাধীনতা ও গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নির্মূল কমিটির শহীদ মিনারে ৫০টি মোমবাতি প্রজ্বালন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোর মিছিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যম সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মী, সুহূদ ও সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মোমবাতি প্রজ্ব¦লন ও আলোর মিছিলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারন সম্পাদক যুবনেতা আনোয়ার হোসেন মিঠুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মমিন, কমরেড আনোয়ার হোসেন, নাট্যকার শাজাহান চৌধুরী, শেখ ফরিদ উদ্দিন, কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুমিল্লা মহানগর শাখার অচিন্ত দাস টিটু, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জাকির, জুলিয়াস মাকসুদ জ্যোতি, আব্দুস সামাদ অপু, সুমন কবির ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন।
বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে সকল গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে বলেন শহীদদের আত্মদানের চেতনায় নিজেদের বোধ শাণিত করার জন্য শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ২৫শে মার্চ সূচনা করেছিলেন।