আমাদের ও আছে একজন শেখহাসিনা।
ডেস্ক নিউজ।।
করোনার ভয়াল থাবায় যখন পুরো বিশ্ব লণ্ডভণ্ড। যেখানে আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত কোন অবস্থাতেই টিকে উঠতে পারছে না। যেখানে দিশেহারা বিশ্ববাসী! সেখানে আমাদের আশ্রয়ের শেষ স্থল,আমাদের মানবতার মা, জননেত্রী, বিশ্ব মডেল, আমাদের আশার প্রদীপ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার পার্দুভাব ঠেকাতে একায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন । যখন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখায় তখন আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলে রোগটি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও খোলা হয় ‘কন্ট্রোল রুম’। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি এবং বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি গঠিত হয়েছে। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হটলাইনে দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসাসেবা।
গতবছরে রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স দেওয়া হয়েছে,অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৩ হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগের। বর্তমানে দেশব্যাপী ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা চলছে সুষ্ঠুভাবে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় তখন তিনি এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন -যা জিডিপি’র ৩.৩ শতাংশ। সরকার ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি তার দল আওয়ামী লীগকেও জনগণের দোরগোড়ায় নামিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, দলীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা দলের পক্ষে সারা দেশে প্রায় ২ কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।
গতবছর জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করে জাতির পিতার কন্যা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি দীর্ঘদিনের আরাধ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা স্থগিত করতে। তিনি এখনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের খোঁজ-খবর নেন, সমস্যা জানতে চান এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। যেখানে বিশ্বের অনেক সাবলম্বী দেশ হতাশায় ভুগছেন সেই সময় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে অবিরাম সাহস যুগিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছেন।
লকডাউনের কারণে ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিতে পারে মনে করে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার নিজের রাজনৈতিক দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধান কাটার আহ্বান জানান। নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগ সফলতার সঙ্গে সারাদেশে ধান কাটা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, হাওড় অঞ্চলসহ যে সকল এলাকায় ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে, সেখানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার সরবরাহ করেছে সরকার। ফলে আগাম বন্যার আগেই যথাসময়ে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষক।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ দেশে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার পর মানুষ যখন জীবিকার সংকটে পড়ে তখন প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরকারের পাশাপাশি দল থেকেও ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়। খেটে খাওয়া মানুষের এ দেশে একজনও না খেয়ে মরেনি। পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্থবিরতা মোকাবিলায় নেওয়া হয় এক ডজনের বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ।
বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন,১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়,নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মাঝে অর্থ বিতরণ,বয়স্ক ভাতা ও বিধবা/স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতার আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় শতভাগে উন্নীত করা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণ- সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের এই কর্মসূচিগুলি করোনা পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
দলমত বিবেচনা না করে সঠিক তালিকা তৈরি করে প্রকৃত অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণসহ সরকারের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধি, দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসে সফল নারী নেতৃত্বের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করে ম্যাগাজিনে লেখা হয়েছে, প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস বাংলাদেশে। সেখানে দুর্যোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। আর এই করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি তিনি (শেখ হাসিনা)। তার এই তড়িৎ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (উই ফোরাম) বিষয়টিকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করে। ম্যাগাজিনে আরো বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা এখনো কার্যকর করতে পারেনি যুক্তরাজ্য।‘অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করে মানুষের জীবিকা রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় প্রশংসা করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, এখন অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ওপরে। এমনকি ভারত, পাকিস্তান, চীনের চেয়েও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক ভালো।’দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছেন আজকের পরিপক্ক রাজনীতিবিদ ‘শেখ হাসিনা’। তিনি যেমন সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশের যাত্রাপথে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তেমনি করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধেও তিনিই সামনে থেকে পথ দেখাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই করোনা মহামারিতেও দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা সচল আছে। করোনাযুদ্ধে একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়কই নন, ইতিহাসে নাম লেখাচ্ছেন যুদ্ধজয়ের বীরত্বগাথার গৌরবে। মানুষের জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। বড়, মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্প বাঁচাতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়াসহ সাহস ও উদ্দীপনা জুগিয়েছেন। শেখ হাসিনার সাহসী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা আনা সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের অনেক ধনী দেশও যখন টিকা পায়নি, তখন দেশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। অতি সম্প্রতি ভারত করোনা টিকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে সংকট তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘যত টাকা লাগুক, টিকা আনবোই।’ দেশের মানুষের প্রতি তার কতটা ভালোবাসা থাকলে এমন কথা বলতে পারে তা আমার জানা নেই।
করোনা মোকাবিলায় সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতস্বরূপ কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী তিন নারী নেতার একজন নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছর মুজিববর্ষের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন একটি পরিবারও ভূমিহীন থাকবে না। ঠিক সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মোট ৮ লাখ আশ্রয়হীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে।
করোনার এই মুহুর্তেও থেমে নেই দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ পুরো বিশ্ববাসিকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা। গ্রামাঞ্চলে এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। বার্ষিক মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বশেষ পরিমাণ ২৪ হাজার মেগাওয়াট। খাদ্যশস্যের উৎপাদন ৪৫১ লাখ টন। অন্যদিকে স্বাধীনতা-পরবর্তী ৩৪৮ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় বেড়ে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ডলার। শিক্ষা, গড় আয়ু, আমদানি, রপ্তানি, রিজার্ভ, ডলারের মান, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এবং মাথাপিছু আয়ের মতো প্রতিটি সূচকে এখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনায় অনেক এগিয়ে। অনেক সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ এখন ভারত থেকে এগিয়ে। বিস্ময়কর উত্থানের কারণ খুঁজছে ভারতও।
একসময় পদ্মা সেতু যারা স্বপ্ন দেখতো আজ সেই পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্র সীমানা বিজয়,শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, ফ্লাইওভার নির্মাণ, জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, দারিদ্রতার হার নিম্ন পর্যায়,যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার,বয়স্ক ভাতা প্রদান, বিনামূল্যে এক কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরন, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান,বিধবা ভাতা প্রদান, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি, গরীব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ,প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান ও বৃদ্ধি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন, বিভিন্ন স্থানে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, দেশের বিভিন্ন জেলায় শিল্প পার্ক নির্মাণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইকোনমিক জোন নির্মাণ,গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও কালভার্ট নির্মাণ,মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি,কর্মসংস্থান বৃদ্ধি,কৃষিতে সফলতা, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সফলতা, এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্প,বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলমান,নারীর ক্ষমতায়ন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি, সারাদেশব্যাপী বিদ্যুৎ উন্নয়ন, ছিটমহল সমস্যার সমাধান। অনলাইন সেবা প্রদান, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও প্রয়োগ, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র,কর্ণফুলী টানেল, মহাসড়ক ও রেলপথ সংস্কার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যাবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে শেখ হাসিনা।
আজকে যে ঢাকাকে মানুষ অতি ঘনবসতির কারণে বসবাসের অযোগ্য মনে করে সেই ঢাকার চেহারাই পাল্টে দিচ্ছে শেখ হাসিনা। অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে , প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল নির্মাণ করা হচ্ছে। যার কাজ একে বারেই শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশে কোন সরকার এর আগে এত উদ্যোগও নেয়নি যত কাজ শেখ হাসিনা করিয়ে দেখিয়েছে।
দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছেন আজকের পরিপক্ক রাজনীতিবিদ “শেখ হাসিনা”। প্রবল দেশপ্রেম এবং গণমানুষের প্রতি তীব্র দায়বদ্ধতা “জননেত্রী” হিসেবে তাঁকে পরিচিত করেছে। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন-অভিজ্ঞ সরকার প্রধান হিসেবে তাইতো তিনি দ্রুততার সঙ্গে নিতে পেরেছেন একের পর এক সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত। ১৯৭১ সালে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মনে আশা জাগিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছেন ঠিক তেমনি বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা , আমাদের আশা আকাঙ্খা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে আশার আলো দেখিয়ে যাচ্ছেন। আবির্ভূত হয়েছেন বাঙালির ‘বাতিঘর’ হিসেবে। এই চরম সংকটের সময় শেখ হাসিনার মত একজন সাহসী, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতাকে আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে পেয়েছি- এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাইতো আজ আমি গর্বের সাথে বলতে পারি‘ আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি কিন্তু আমি একজন শেখ হাসিনাকে দেখেছি। আমরা আশা করছি আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশ করোনা মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ এবং আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে বলবো দেখ আমাদের ও আছে একজন শেখ হাসিনা।
লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও গণমাধ্যম শ্রমিক।//সাজ্জাদ হোসেন চিশতী //