বিশেষ প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মেঘনায় বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামে টিউবওয়েল চুরির অভিযোগে রাসেল ( ২৭) নামের এক যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলমের বিরুদ্ধে। যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকা তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
যুবকের বাড়ি পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার বাবরকান্দি পিতার নাম কুদ্দুস মিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের বড় কান্দা গ্রামের মনির হোসেন মৃধার বাড়িতে সকাল ১১ টার দিকে টিউবয়েলের উপরের অংশ চুরি করে বস্তায় নেওয়ার সময় স্কুল ছাত্র দেখে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী রাসেল নামের এক যুবককে আটক করে।
এ সময় তার ব্যাগ থেকে একটি টিউবওয়েল মাথা উদ্ধার করা হয়। এই সময় বড়কান্দা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় এলাকার কয়েকজন ও ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে যুবককে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে একটি গাছে ঝুলানো হয় । এই সময় ইউপি সদস্য শাহ আলম লাঠি দিয়ে তাকে পেটাতে থাকে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সময় যুবক বারবার তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে এবং তার সন্তান বাবা-মার কথা বলে সে তারপরও যুবককে পেটাতে থাকে শাহ আলম। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যুবককে থানায় নিয়ে আসে। বড় কান্দা গ্রামের সিরাজ মিয়া জানান, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের গ্রামের টিউবয়েলের মাথা চুরি হয়ে আসছিল আজকে সকালে মনির মৃধার বাড়িতে টিউব ওয়েল চুরি হয় এ সময় এক যুবককে আটক করা হলে তার কাছ থেকে একটি টিউব ওয়েলের মাথা পাওয়া যায়। পরে শাহ আলম মেম্বার আসে কিছু ছেলেপেলে তাকে রশি দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে এসময় শাহ আলম মেম্বার লাঠি দিয়ে তাকে পেটায়।
অভিযুক্ত ইপি সদস্য শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রিপন জানান, বড় কান্দা গ্রামে টিউবল চুরি হচ্ছিল কয়েকদিন যাবত এটা শুনেছি । এক যুবককে আটক করা হয়েছে টিউবয়েল চুরি করার সময় বলে শুনেছি তবে যুবককে গাছের সাথে বেঁধে পেটানোর ঘটনা ঠিক করেনি মেম্বার সাহেব, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। মেম্বার সাহেব এটা অন্যায় কাজ করেছেন। তাকে পুলিশে দিয়ে দেওয়া দরকার ছিল মারা ঠিক হয়নি। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) মীর মহসিন মাসুদ রানা জানান, যুবককে আমরা থানার নিচে এসেছি তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, ইউপি সদস্য শাহ আলম কে আমরা খুঁজছি, তাকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না তাকে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব ।