রুবেল মজুমদার।
কুমিল্লা জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫ টি চোরাই ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২ টি পুরাতন ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা (ফাইটার), ৩ টি পুরাতন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (মিশুক) জব্দ করা হয়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এস তথ্য জানান এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বেহুতা গ্রামের আনজু আলীর ছেলে সহিদুল ইসলাম (৩০), কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার (ইসমাইল মিয়ার ভাড়াটিয়া) নুরু মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২৮), কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার অম্বরপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মোহাম্মদ শরীফ (৩২), কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বেলঘর ইউনিয়নের সোন্ডা গ্রামের মোঃ সাইদুল হকের ছেলে মোঃ শাহ ইমরান ওরফে শাহীন (৩৪), কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল গ্রামের মো: ছারু মিয়ার ছেলে মো: রুবেল (২৫), একই উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের সাকুচ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মোঃ ছাদেক হোসেন (৩৭),চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার কুটিয়া লক্ষীপুর গ্রামের এবাদ উল্লাহর ছেলে মো: মানিক হোসেন (২৭), কুমিল্লা জেলার চান্দনা উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ মুরাদনগর জসীম মেম্বারের বাড়ির মৃত আরব আলীর ছেলে মোঃ লিটন (৩২), কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার শাকতলা শহিদ মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত গাছ ব্যাপারী কাশেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩০)।
তিনি জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার কোটবাড়ী চাঙ্গীনি এলাকার ফজলুর রহমান জুম্মা’র নামাজ আদায় করতে গেলে তার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাটি অজ্ঞাতনামা চোর নিয়ে যায়। এতে তিনি সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি চুরির মামলা করলে উক্ত মামলার সূত্র ধরে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত অটোরিকশাসহ আরো ০৪টি অটোরিকশা ০৫টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা / টমটম উদ্ধার করে এবং পেশাদার চোর চক্রের ০৯জন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
এসময়, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চুরি করে রং পরিবর্তন সহ গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা সহ আশপাশ জেলায় বিক্রয় করে। উক্ত চোর চক্রের মূল হোতা মোঃ সাইদুর ওরফে সহিদুল ইসলাম (৩০), মোঃ রুবেল (২৮) এবং শরীফ (৩২) বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি করে অন্যান্য গ্রেফতারকৃত চোরদের কাছে বিক্রয় করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া পিপিএম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর শাহেদ পারভেজ সহ প্রমুখ।