রাজশাহীতে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় মামলা দিতে উদ্যত হয়েছিলেন ওই সার্জেন্ট। এ কারণেই তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা ঐতিহ্য চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম বিপুল কুমার। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সার্জেন্টের দুই হাতে জখম হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন তিনি। রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে তিনি চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরই তাকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
সার্জেন্ট বিপুল কুমারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়েছে। ঘটনাস্থলের সামনেই এদের একজনের চায়ের দোকান, অন্যজন পাশের একটি ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাথায় হেলমেট ছাড়াই আসছিলেন এক যুবক। ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে থামিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজ দেখতে চান। এছাড়া হেলমেট না থাকায় তিনি মামলা দিতে শুরু করেন। তখন ওই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে ফুটপাতে ওঠেন। এরপর সার্জেন্টের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
একপর্যায়ে ফার্নিচারের দোকান থেকে কাঠের টুকরো এনে আচমকাই মারধর শুরু করেন সার্জেন্টকে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ওই যুবক মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশের হাতে আটক দুজন জানান, অভিযুক্ত যুবকের নাম বেলাল। তার বাড়ি নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকায়। তিনি সামনের চায়ের দোকানেই আড্ডা দেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, সার্জেন্ট বিপুলের দুই হাতে জখম হয়েছে। শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আপাতত বিস্তারিত কিছু জানি না। একটু সুস্থ হলে সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, হামলাকারী যুবক মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।–খবর ও ছবি: যুগান্তর