আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে প্রতিবন্ধীর এক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে( ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১)রোববার রাত সাড়ে ১২ টায় বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামে প্রতিবদ্ধী স্বামী মোঃ কামাল হোসেন (৩৬) এর দক্ষিণ ভিটির ভাঙ্গাচোড়া টিনের ঘরে।একই দিনে এ ব্যাপারে ভিটকিম মোছাম্মৎ ইয়াছমিন (৩২) বাদী হয়ে তারই প্রতিবেশী মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (২০) এর বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়,বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (২০) দীর্ঘ দিন ধরে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে আসছে।ধর্ষিতার ছেলে মোঃ সুমন যে সাদকপুর দোকানে কাজ করে তাকে আরো বেতন বাড়িয়ে দেবার প্রলোভন দেয়া হয়।তাকে বেতন বাড়িয়ে দিবে সে (ভিকটিম) যদি তার সাথে সপ্তাহে একবার ওই কাজে রাজী হয়।
ঘটনার রাত রেজাউল তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে বলে পুলিশকে জানায়।এসময় মহিলার আর্তনাদের শব্দে পার্শ্ববর্তী লোকজন টের পেয়ে ধাক্কা দিয়ে ঘরের দরজা খোলে তাকে আটক করে ফেলে।
এক পর্যায়ে চিৎকার হৈ হুল্লোরে সে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপন করে।পরবর্তীতে তার পিতা ও ভাই এসে ভিকটিমকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফুলা জখম করে।ধর্ষিতার ২ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে।
প্রতিনিধিকে আসামী রেজাউল জানান,সাদকপুর বাজারে আমাদের চা দোকানে কর্মচারী ছিলেন সুমন। তার যে কোনো অসুবিধা হলে এবং চিকিৎসা খরচও আমরা বহন করে আসছি।
ওদিন সন্ধ্যায় সুমন আমাদের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।তাই আমার বাবা নূরুল ইসলামের নির্দেশে সুমনের মাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে তাদের বাড়িতে যাই।
ইয়াছমিন আক্তার সম্পর্কে আমার চাচী হয়।তখন কিছু জিজ্ঞেস করতে গেলে তর্কাতর্কি এক পর্যায়ে তারা তাদের কিছু লোকজন দিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়।
অবশেষে তারা আমাকে অপকর্মের অভিযোগ এনে মিথ্যে অপবাদে জড়িয়ে দেয়। এ অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবী করেন রেজাউল ও তার বাবা নূরুল ইসলাম নূরু।
তারা আরও বলেন,কিছু অসাধু সাহেব সর্দারকে সাথে নিয়ে আমার চাচী আমাকে অপকর্মের সাথে জড়িয়ে দিচ্ছে।আমরাও আদালতে মামলা করব।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে ওই দিন সকালে বুড়িচং থানার এসআই বিনোদ দস্তিদার সঙ্গীয় মহিলা পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সোমবার ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।এদিকে,পুলিশ ধর্ষকের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পায়নি।
এ ব্যাপারে বুড়িচং থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান-এ বিষয়ে ধর্ষণের মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা সকল আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।