মিথ্যা মামলায় কারান্তরীন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা স্বামীর নি:শর্ত মুক্তি চাইলেন স্ত্রী
ডেস্ক নিউজ।।
মিথ্যা মামলায় কারান্তরীন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট এস এম সানিয়েল আরিফিনের মুক্তি দাবি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী এডভোকেট মার্সেলা সুইটি আরিফিন।
সোমবার দুুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার শ্বশুর স্বনামধন্য শিল্পপতি মরহুম আমজাদ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি নরসিংদীর আটীবাড়ি এলাকায় ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লি: প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও একমাত্র উদ্যোক্তা। তার ৩৮৬.৯২ শতাংশ জমি এবং ২ লাখ স্কয়ার ফিট ভবন বন্ধক রেখে জনতা ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল অফিস থেকে সাড়ে ১১ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তা সুদ আসলে প্রায় ৪০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালের গত ২২ আগস্ট আমজাদ হোসেন ভূঁইয়া মারা যাওয়ায় টেক্সটাইল মিলটি বন্ধ হয়ে যায়।
সুইটি আরিফিন বলেন, নরসিংদীর সুইডেন-বাংলা টেক্সটাইল মিলস লি: এর মালিক আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউরের সাথে জনতা ব্যাংকের সকল ঋণ পরিশোধ এবং অতিরিক্ত ১২ কোটি টাকার নগদ প্রদান করবে বলে মূল্য নির্ধারণ করে টেক্সটাইল মিলটির ওয়ারিশ সূত্রের মালিকদের সাথে একটি রেজিস্টার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ি সুইডেন আতাউর জনতা ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে ২ কোটি টাকা জনতা ব্যাংকে জমা প্রদান করেন।
চুক্তিনামার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়া সত্যেও তিনি জনতা ব্যাংকে ঋণের বিপরীতে কোন প্রকার টাকা প্রদান না করায়, চুক্তির ৩ নম্বর শর্ত অনুযায়ী বায়নাকৃত ২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত বলে এবং চুক্তিটি বাতিল বলে গন্য হয়।
২০১৯ সালের ২ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় উক্ত সুইডেন আতাউর রহমান সিআইডি কর্তৃক গ্রেফতার হয।
দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে একাধিক জাল জালিয়াতি মামলার কারনে দেশ থেকে সুইডেনে পালিয়ে যায়। পরে কিছুদিন আগে দেশে ফিরে এসেই বাতিলকৃত চুক্তির রেশ ধরে ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলটি গ্রাস করার গভীর ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়।
গত ১৯ অগাস্ট নরসিংদী সদর মডেল থানায় ৪০৬/৪২০/৫০৬/ ১০৯ ধারায় বিভ্রান্তিকর, কাল্পনিক, ষড়যন্ত্রমূলক একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় এ্যাডভোকেট এস এম সানিয়েল আরিফিনকে ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এর পরিচালক হিসেবে ২ নং আসামী করা হয়।
ওই মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। বর্তমানে অসুস্থ শাশুড়ি এবং নাবালক তিন সন্তান নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।